বাংলাদেশী ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪

বাংলাদেশী ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
বাংলাদেশী ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪ নিয়ে আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ! ই পাসপোর্ট রিনিউ করার প্রক্রিয়াটি এখন অনেক সহজ এবং সাশ্রয়ী হয়েছে। প্রথমেই, আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফর্ম পূরণ করবেন। ফর্ম পূরণ করার সময় আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পাসপোর্টের কপি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রস্তুত রাখবেন। ফর্মটি সাবমিট করার পর, আপনাকে একটি আবেদন নম্বর দেওয়া হবে যা ভবিষ্যতে আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। আবেদন ফি পরিশোধের জন্য বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করতে পারবেন, যেমন বিকাশ, রকেট বা ব্যাংক ট্রান্সফার।

আমার একবার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধুবান্ধবের সাথে একটা বিদেশ ভ্রমণের প্ল্যান করি। কিন্তু হঠাৎ করেই দেখি আমার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে! তখনই আমি এই নতুন ই পাসপোর্ট রিনিউ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানলাম। প্রথমে ভাবছিলাম সময় লাগবে অনেক, কিন্তু অনলাইনে আবেদন করার পর একেবারে সহজেই সব হয়ে গেল। সত্যি বলতে, কোন সরকারি অফিসে যেতে হয়নি, শুধুমাত্র অনলাইনে সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর পর, আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে, আপনাকে আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিস থেকে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হবে। ছবি, আঙ্গুলের ছাপ, এবং স্বাক্ষর নেওয়া হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে, আপনি কিছু সপ্তাহের মধ্যেই আপনার নতুন পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।

আপনি আরও বিস্তারিত জানতে এবং প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে দেখতে পারেন। এতে করে আপনি কোন ধাপে কি করতে হবে তা বুঝতে পারবেন এবং কোন ঝামেলায় পড়বেন না। শুভকামনা রইল আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য!


ই পাসপোর্ট: বাংলাদেশে নতুন যুগের সূচনা



ই পাসপোর্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে পাসপোর্ট ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এই পাসপোর্টে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক চিপ প্রযুক্তি, যা নিরাপত্তা ও বিশ্বমানের সফটওয়্যার দিয়ে সুরক্ষিত।

এটি শুধুমাত্র আপনার পাসপোর্ট তথ্যই সংরক্ষণ করে না, বরং বায়োমেট্রিক তথ্যও সংরক্ষণ করে যা ভ্রমণের সময় পরিচয় নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। ই পাসপোর্টের মাধ্যমে ভ্রমণকারীরা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজে এবং দ্রুত সম্পন্ন করতে পারবেন।

ই পাসপোর্টের সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য



ই পাসপোর্টের প্রধান সুবিধাগুলির মধ্যে অন্যতম হল এর নিরাপত্তা। এতে ব্যবহৃত চিপ প্রযুক্তি জালিয়াতি ও নকল পাসপোর্টের সমস্যা কমিয়ে আনে।

এছাড়া, ই পাসপোর্টের মাধ্যমে ভ্রমণকারীরা দ্রুত ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্ট পার হতে পারেন, কারণ এটি মেশিনে সহজে স্ক্যান করা যায়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এর দীর্ঘমেয়াদী বৈধতা, যা সাধারণ পাসপোর্টের তুলনায় বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা যায়।

ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী



ই পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই ফর্মটি আপনি অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারেন বা পাসপোর্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।

ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। এছাড়া, আবেদন করার সময় আপনার পুরানো পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রও জমা দিতে হতে পারে।

অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার ধাপসমূহ



অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার ধাপগুলি সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব। প্রথমে, ই পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

এরপর, লগইন করে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদন সম্পন্ন হলে, পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে রিনিউ ফি পরিশোধ করতে হবে। সবশেষে, আবেদন জমা দিয়ে একটি কনফার্মেশন মেসেজ পাবেন।

পাসপোর্ট রিনিউ করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র



ই পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন। প্রথমেই, পুরাতন পাসপোর্টের একটি ফটোকপি জমা দিতে হবে।

এছাড়া, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদের কপি, সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ফি জমা দেওয়ার রশিদ জমা দিতে হবে। যদি কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে হয়, তবে তার প্রমাণপত্রও জমা দিতে হবে।

পাসপোর্ট রিনিউ ফি এবং অন্যান্য খরচ



পাসপোর্ট রিনিউ করতে কিছু নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়। সাধারণত, এই ফি নির্ধারণ করা হয় পাসপোর্টের মেয়াদ এবং প্রক্রিয়া সময়ের উপর ভিত্তি করে।

জরুরি রিনিউয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত বেশি ফি দিতে হয়। এছাড়া, অনলাইনে আবেদন করলে পেমেন্ট গেটওয়ের চার্জও যুক্ত হতে পারে। অন্যান্য খরচের মধ্যে ফটোকপি, ছবি তোলা ইত্যাদি খরচ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

পাসপোর্ট রিনিউ ফরম জমা দেয়ার নির্দেশনা



পাসপোর্ট রিনিউ ফরম জমা দেওয়ার আগে ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করা হয়েছে কিনা যাচাই করে নিন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করুন এবং ফি জমা দেওয়ার রশিদ সংযুক্ত করতে ভুলবেন না।

ফরমটি জমা দেওয়ার সময় পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে অথবা নির্ধারিত ঠিকানায় পাঠাতে হবে। জমা দেওয়ার পর একটি রিসিপ্ট নিন, যা পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন হতে পারে।

আমেরিকা থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার পদ্ধতি



আমেরিকা থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করতে হলে প্রথমে বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিতে হবে।

ফি পরিশোধ করার পর, আপনার আবেদনটি প্রক্রিয়াকরণ করা হবে এবং নতুন পাসপোর্ট ডেলিভারি করার সময় ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হবে। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে সব ধাপ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা থাকে।

























পাসপোর্ট রিনিউ ফি ফি (টাকা)
৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার পাসপোর্ট ৪,০২৫
৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পাতার পাসপোর্ট ৬,৩২৫
১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার পাসপোর্ট ৫,৭৫০
১০ বছর মেয়াদী ৬৪ পাতার পাসপোর্ট ৮,০৫০

Read also: ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরঃ

বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট ব্যবহারের সুবিধা কী?


ই পাসপোর্ট ব্যবহারের সুবিধা হল দীর্ঘ সময় লাইনে না দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশনে স্বয়ংক্রিয় ই-গেইটের মাধ্যমে চেকিং ছাড়াই প্রবেশ করা যায়।

ই পাসপোর্ট রিনিউ করার সময় কোন তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে?


ই পাসপোর্ট রিনিউ করার সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্টের তথ্য প্রদান করতে হবে।

কোন ক্ষেত্রে পাসপোর্ট রিনিউ করার সময় অতিরিক্ত তথ্য বা ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়?


তথ্য সংশোধনের জন্য পাসপোর্ট রিনিউ করার সময় এনআইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।

পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য অনলাইনে কিভাবে আবেদন করবেন?


অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করতে epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত করতে হবে।

ই পাসপোর্ট রিনিউ ফি কত?


৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার ই পাসপোর্ট রিনিউ ফি ৪,০২৫ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার ই পাসপোর্ট রিনিউ ফি ৫,৭৫০ টাকা।

কতদিনে ই পাসপোর্ট রিনিউ করা যায়?


সাধারণ ডেলিভারীর ক্ষেত্রে ই পাসপোর্ট রিনিউ করতে ১২-১৫ দিন সময় লাগে।

পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কী কী?


আবেদনপত্রের সারাংশের প্রিন্ট কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ, পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের কপি, এ চালান/ মানি অর্ডার/ ব্যাংক সার্টিফাইড চেকবুক।

যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায়, তাহলে কি করতে হবে?


পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে এবং রিনিউ আবেদন করার সময় জিডির কপি দাখিল করতে হবে।

আমেরিকা থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করার পদ্ধতি কী?


আমেরিকা থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ করতে epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং পূর্ববর্তী এমআরপি পাসপোর্টের তথ্য প্রদান করতে হবে।

কত দিন আগে পাসপোর্ট রিনিউ করা উত্তম?


এমআরপি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস পূর্বে রিনিউ আবেদন করা উত্তম।

পাসপোর্ট রিনিউ করা কি বাধ্যতামূলক?


হ্যাঁ, যেহেতু এখন এমআরপি পাসপোর্ট আর দেয়া হচ্ছে না, তাই সবাইকে ই পাসপোর্টই নিতে হবে।

যদি পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করতে হয়, তাহলে কি করতে হবে?


পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করতে হলে এনআইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লাগবে।

যেকোনো সময় পাসপোর্ট রিনিউ করা যায় কি?


হ্যাঁ, আপনার বর্তমান পাসপোর্টের মেয়াদ থাকা অবস্থায় যেকোনো সময় ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন।

বয়স ২০ বছর বা তার বেশি হলে পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য কি প্রয়োজন?


বয়স ২০ বছর বা তার বেশি হলে পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য NID Card প্রয়োজন হবে।

ই পাসপোর্টের জন্য কোন ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হয়?


ই পাসপোর্টের জন্য epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হয়।

Explore More