জানুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

জানুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
আপনি জানতে চেয়েছেন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন! পাসপোর্ট করা নিয়ে সবারই নানা রকম প্রশ্ন থাকে। আসলে, পাসপোর্ট করতে কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস এবং ধাপ অনুসরণ করতে হয়। প্রথমেই দরকার হয় আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), জন্ম সনদ বা SSC সার্টিফিকেট। এসব ডকুমেন্টস আপনার পরিচয় এবং বয়স প্রমাণ করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরপর দরকার হয় আপনার ঠিকানার প্রমাণ, যেমন ইউটিলিটি বিল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ওয়ার্ড কমিশনারের সনদপত্র।

আমি যখন পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলাম, তখন আমার একটা মজার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমি সব ডকুমেন্টস ঠিকঠাক জমা দিয়েছিলাম, কিন্তু ছবি তুলতে গিয়ে দেখি আমার চুল খুবই অগোছালো! অফিসার আমাকে বললো, "ভাই, আগে চুল ঠিক করেন তারপর ছবি তুলেন।" হাহাহা! তাই আপনিও যখন ছবি তুলতে যাবেন, একবার চুল-দাড়ি ঠিকঠাক দেখে নেবেন। আরেকটা বিষয়, ফি জমা দেয়া লাগে। অনলাইনে ফি জমা দিলে অনেক সহজ হয়। সবকিছু ঠিকঠাক জমা দিলে, পাসপোর্ট অফিস থেকে একটা নির্ধারিত সময়ে আপনার পাসপোর্ট রেডি হয়ে যাবে।

আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেতে এবং আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে, পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন। এটা পড়লে আপনার সব ধোঁয়াশা কেটে যাবে। আশা করি, এগুলো আপনার জন্য উপকারী হবে এবং পাসপোর্ট করতে কোনো সমস্যা হবে না। শুভকামনা!

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে



পাসপোর্ট করতে গেলে প্রথমেই আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। প্রথমত, আপনার বয়স, নাম, পেশা ইত্যাদি সম্পর্কিত সঠিক তথ্য থাকতে হবে।

অনেক ক্ষেত্রেই ভুল তথ্য পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে, তাই সবসময় নিশ্চিত করুন যে আপনি সঠিক এবং সাম্প্রতিক তথ্য প্রদান করছেন।

পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া



পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং সুসংগঠিত। প্রথমে আপনাকে অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। ফর্ম পূরণের পর আপনি একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাবেন যেখানে নির্দিষ্ট সময় এবং তারিখে আপনাকে নির্ধারিত পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।

এখানে আপনার ছবি তোলা হবে এবং আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে, যা আপনার পাসপোর্টের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা



পাসপোর্ট করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে: জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিক সনদ, পিতামাতার জাতীয় পরিচয় পত্র, পুরাতন পাসপোর্টের কপি ইত্যাদি।

প্রত্যেকটি কাগজপত্র সঠিক এবং আপডেটেড হতে হবে, তা না হলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে।

জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন



জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধনের কপি পাসপোর্ট করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় পরিচয় পত্রে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, এবং অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে থাকতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদেও একই তথ্য থাকতে হবে।

এই দুটি ডকুমেন্টের তথ্য মিল না করলে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া বন্ধ হতে পারে

পাসপোর্ট ফি পরিশোধ



পাসপোর্ট ফি পরিশোধের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক বা অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন। ফি পরিশোধের পর একটি রশিদ পাবেন, যা আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।

ফি সঠিকভাবে পরিশোধ না করলে আপনার আবেদন গ্রহণ করা হবে না

অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র



পাসপোর্টের জন্য কিছু অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও থাকতে পারে। যেমন, শিক্ষাগত সনদপত্র, চাকুরীর প্রমাণপত্র, কাবিন নামা ইত্যাদি।

এই ধরনের ডকুমেন্টগুলি আপনার পরিচয় এবং পেশা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করে, যা পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকে সহজ করে।

নাগরিক সনদ ও অন্যান্য সনদপত্র



নাগরিক সনদ পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

এছাড়া অন্যান্য সনদপত্র যেমন, শিক্ষাগত সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র ইত্যাদিও জমা দিতে হতে পারে, যা আপনার পরিচয় এবং পেশা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করে।

পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র



পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি জমা দেওয়াও বাধ্যতামূলক। এটি আপনার পারিবারিক পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

এছাড়া এটি আপনার জন্মতারিখ এবং অন্যান্য তথ্য নিশ্চিত করতে সহায়তা করে

পুরাতন পাসপোর্টের কপি



যদি আপনার আগে কোনো পাসপোর্ট থাকে, তবে তার কপি জমা দিতে হবে। এটি আপনার পাসপোর্ট প্রক্রিয়ার ইতিহাস এবং আপনার পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

পুরাতন পাসপোর্টের কপি না থাকলে নতুন পাসপোর্ট পেতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে

NOC বা GO



যদি আপনি সরকারি চাকুরিজীবী হন, তবে আপনাকে NOC (No Objection Certificate) বা GO (Government Order) জমা দিতে হবে।

এই ডকুমেন্টগুলি আপনার সরকারি অনুমোদন প্রমাণ করে এবং পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকে সহজ করে।

পেশাগত সনদ বা চাকুরীর আইডি কার্ডের কপি



আপনার পেশার প্রমাণ হিসাবে পেশাগত সনদ বা চাকুরীর আইডি কার্ডের কপি জমা দিতে হবে। এটি আপনার পরিচয় এবং পেশার সঠিকতা প্রমাণ করে।

এই ধরনের ডকুমেন্টগুলি পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে

কাবিন নামা



বিবাহিত হলে কাবিন নামার কপি জমা দিতে হবে। এটি আপনার বৈবাহিক অবস্থার প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং পাসপোর্টে আপনার সঙ্গীর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে সহায়তা করে।

কাবিন নামার তথ্য সঠিক এবং সাম্প্রতিক হতে হবে

পাসপোর্ট সংশোধনের বিশেষ দ্রষ্টব্য



পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ দ্রষ্টব্য মাথায় রাখতে হবে। যেমন, নাম, জন্ম তারিখ, কিংবা অন্য কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে হলে সঠিক ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।

সংশোধনের জন্য আপনাকে অতিরিক্ত ফি পরিশোধ করতে হতে পারে এবং এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

এইভাবে, প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে অনুসরণ করলে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দিলে আপনার পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত হবে।





























































ডকুমেন্ট প্রযোজ্যতা
অনলাইনে আবেদন কপি সবার জন্য আবশ্যক
অনলাইন আবেদনের Registration Form সবার জন্য আবশ্যক
জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি ও ফটোকপি বয়স ২০ এর বেশি হলে
ইংরেজি জন্ম নিবন্ধন সনদের মূল কপি ও ফটোকপি বয়স ২০ এর কম এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে
পাসপোর্ট ফি পরিশোধের A Challan সবার জন্য আবশ্যক
নাগরিক সনদ নতুন পাসপোর্টের জন্য
পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক
NOC অথবা GO সরকারি চাকরীজীবিদের জন্য
পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি ও অরিজিনাল পাসপোর্ট প্রযোজ্য ক্ষেত্রে
পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড পেশাজীবির ক্ষেত্রে
ঠিকানার প্রমাণপত্র/ ইউটিলিটি বিলের কপি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে
3R Size ছবি Lab Print, Gray Background ৬ বছর বয়সের কম শিশুদের ক্ষেত্রে
পাসপোর্ট হারানোর জিডি কপি পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে
কাবিন নামা Spouse Name যুক্ত করলে

Read also: SIM Registration Check by NID | চেক করুন NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরঃ

পাসপোর্ট করতে প্রধানত কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়?


পাসপোর্ট করতে প্রধানত জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন লাগে।

অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করতে কোন অতিরিক্ত ডকুমেন্ট লাগে?


অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট করতে পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি লাগে।

কোন ক্ষেত্রে NOC বা GO প্রয়োজন হয়?


সরকারি চাকরীজীবিদের ক্ষেত্রে NOC বা GO প্রয়োজন হয়।

পাসপোর্ট ফি পরিশোধের জন্য কোন পদ্ধতি সবচেয়ে নিরাপদ?


পাসপোর্ট ফি পরিশোধের জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে A Challan করা সবচেয়ে নিরাপদ।

পাসপোর্ট রিনিউ করতে হলে কোন ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়?


পাসপোর্ট রিনিউ করতে হলে পূর্ববর্তী পাসপোর্টের অরিজিনাল কপি এবং একটি ফটোকপি জমা দিতে হয়।

পেশাজীবির পাসপোর্ট করতে কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়?


পেশাজীবির পাসপোর্ট করতে পেশার প্রমাণপত্র হিসেবে সনদ বা চাকুরীর আইডি কার্ডের কপি প্রয়োজন হয়।

পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ২০ থেকে কম হলে কোন ডকুমেন্ট ব্যবহার করা যাবে?


পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ২০ থেকে কম হলে জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করা যাবে।

কোন ডকুমেন্ট ছাড়া পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন না?


জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের তথ্য পাসপোর্টের সাথে না মিললে পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারবেন না।

পাসপোর্ট করতে স্পাউস নাম যুক্ত করতে হলে কোন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে?


পাসপোর্টে স্পাউস নাম যুক্ত করতে হলে স্বামী বা স্ত্রীর এনআইডি কার্ড ও Marriage Certificate বা কাবিন নামার কপি জমা দিতে হবে।

পাসপোর্ট আবেদনের সময় অনলাইনে কোন দুটি ডকুমেন্ট ডাউনলোড করতে হবে?


পাসপোর্ট আবেদনের সময় অনলাইনে Application Summery এবং Registration Form ডাউনলোড করতে হবে।

কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা হতে পারে?


নামের বড় ধরণের সংশোধন, জন্ম তারিখ ও স্থায়ী ঠিকানা সংশোধনের ক্ষেত্রে স্পেশাল ব্রাঞ্চের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা হতে পারে।

পাসপোর্ট হারালে কোন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে?


পাসপোর্ট হারালে জিডি কপি জমা দিতে হবে।

অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্টের জন্য ছবি কেমন হতে হবে?


৬ বছর বয়সের কম শিশুদের ক্ষেত্রে 3R Size ছবি Lab Print, Gray Background প্রয়োজন হয়।

বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন ডকুমেন্ট গ্রহণযোগ্য?


বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে সবক্ষেত্রেই Online Birth Certificate English Version গ্রহণযোগ্য হবে।

পাসপোর্ট আবেদনের সময় নাগরিক সনদের প্রয়োজন কবে হতে পারে?


নতুন পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে নাগরিক সনদ প্রয়োজন হতে পারে।

Explore More