কিভাবে নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকার নামা লিখবেন

কিভাবে নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকার নামা লিখবেন
নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকার নামা লেখা বেশ সহজ, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা দরকার। প্রথমেই, আপনাকে বুঝতে হবে যে এটি একটি প্রতিশ্রুতিপত্র, যেখানে আপনি আপনার দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে অবগত থাকবেন। প্রথমে আপনার নাম, ঠিকানা, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে লিখুন। এটি একটি সরকারি নথি, তাই কোনো ভুল যেন না হয়। একবার আমি এক বন্ধুর জন্য অঙ্গীকার নামা লিখতে গিয়ে ছোট্ট একটি ভুল করেছিলাম, কিন্তু সেই ভুলের কারণে পুরো প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছিল। তাই, নিজের তথ্য ভালো করে চেক করে নিন।

দ্বিতীয়ত, অঙ্গীকার নামায় আপনি কিছু নির্দিষ্ট বক্তব্য উল্লেখ করবেন, যেমন আপনি আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং সঠিক প্রার্থীকে ভোট দেবেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যার মাধ্যমে আপনি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অংশগ্রহণ করবেন। আমি যখন প্রথমবার ভোটার হলাম, তখন আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, "ভোট দেওয়া মানে শুধু নিজের অধিকার ব্যবহার করা নয়, এটি একটি দায়িত্ব, যা দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।" আমার সেই অভিজ্ঞতা আজও মনে আছে এবং আমি সবসময় দায়িত্বশীলভাবে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করি। আপনারও উচিত এই দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করা।

আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য পুরো নিবন্ধটি পড়ুন, যাতে আপনি সবকিছু সঠিকভাবে বুঝে নিতে পারেন। আশা করি, এটি আপনাকে সাহায্য করবে নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকার নামা লেখার প্রক্রিয়ায়। শুভকামনা রইল!

নতুন ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া


নতুন ভোটার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রথমেই আপনাকে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে আপনি নতুন ভোটার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পাবেন। ফর্মটি পূরণ করার জন্য আপনার পূর্ণ নাম, জন্ম তারিখ, বর্তমান ঠিকানা, এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর প্রয়োজন হবে।

ফর্মটি পূরণ করার পর, তা সাবমিট করলে একটি কনফার্মেশন মেসেজ পাবেন। এরপর আপনাকে স্থানীয় নির্বাচন অফিসে গিয়ে আপনার ফর্মের সত্যতা যাচাই করতে হবে। যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আপনি নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হবেন এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড প্রস্তুতির কাজ শুরু হবে।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পদ্ধতি


ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে একটি নির্দিষ্ট সেকশন থাকবে যেখানে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রবেশ করিয়ে আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

যদি আপনার তথ্য সঠিক হয়, তাহলে আপনি একটি ডাউনলোড লিংক পাবেন যেখানে থেকে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে পারবেন। এটি প্রিন্ট করে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।

নতুন ভোটারদের জন্য অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার নিয়ম


নতুন ভোটারদের জন্য অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার নিয়ম অত্যন্ত সহজ। প্রথমে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। ফর্মটি পূরণ করার সময় আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।

ফর্মটি পূরণ করার পর স্থানীয় নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। অফিসে জমা দেওয়ার পর, তারা আপনার তথ্য যাচাই করবে এবং প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আপনি ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হবেন।

একাধিকবার ভোটার হওয়া: আইনি প্রেক্ষাপট


একাধিকবার ভোটার হওয়া বাংলাদেশের আইনে একটি গুরুতর অপরাধ। এটি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ যা বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য। যদি কেউ একাধিক ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ধরনের অপরাধের জন্য জেল জরিমানা সহ বিভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে। তাই সকল নাগরিকদের উচিত একবারই সঠিকভাবে ভোটার নিবন্ধন করা এবং আইন মেনে চলা।

অঙ্গীকারনামা লেখার নমুনা


অঙ্গীকারনামা লেখার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফর্ম্যাট অনুসরণ করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ:

আমি, (আপনার নাম), পিতা/মাতা (পিতামাতার নাম), ঠিকানা (আপনার বর্তমান ঠিকানা), এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি। আমি পূর্বে কখনো অন্য কোনো স্থানে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হইনি এবং আমি সব তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করেছি।

অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার পদ্ধতি


অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট ফর্মটি পূরণ করতে হবে। ফর্মটি পূরণ করার পর, আপনি স্থানীয় নির্বাচন অফিসে গিয়ে তা জমা দিতে পারেন। অফিসে জমা দেওয়ার পর, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আপনার সমস্ত তথ্য যাচাই করবেন এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আপনি একজন বৈধ ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হবেন এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড প্রস্তুতির কাজ শুরু হবে।





























নাম মোহাম্মদ জামাল হোসেন
পিতা দেলোয়ার হোসেন
মাতা আনোয়ারা বেগম
গ্রাম চন্দ্রঘোনা
পোস্ট চন্দ্রঘোনা ৪৫৩১
উপজেলা রাঙ্গুনিয়া
জেলা চট্টগ্রাম

Read also: টোকেন দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম | NID Card Download with Token

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরঃ

নতুন ভোটার রেজিস্ট্রেশন এখন কিভাবে করা যায়?


নতুন ভোটার রেজিস্ট্রেশন এখন অনলাইনে আবেদন করে অথবা নির্বাচন অফিস থেকে ভোটার নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করে করা যায়।

নতুন ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য কি ধরনের ডকুমেন্ট জমা দিতে হতে পারে?


নতুন ভোটার হতে গেলে আপনাকে পূর্বে কখনো ভোটার হননি এই মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হতে পারে।

যাদের বয়স বেশি এবং আগে ভোটার হননি, তাদের ক্ষেত্রে কি করতে হবে?


যাদের বয়স বেশি এবং আগে ভোটার হননি, তাদের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে।

একাধিকবার ভোটার হওয়া কি ধরনের অপরাধ?


একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

অঙ্গীকারনামার উদ্দেশ্য কি?


অঙ্গীকারনামার উদ্দেশ্য হচ্ছে আবেদনকারী ২য় বার ভোটার হচ্ছেন কিনা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া।

অঙ্গীকারনামা কোন কাগজে প্রিন্ট করতে হবে?


অঙ্গীকারনামাটি একটি সাদা কাগজে কম্পিউটার প্রিন্ট করে এবং স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে।

নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামাতে কি উল্লেখ করতে হবে?


অঙ্গীকারনামাতে উল্লেখ করতে হবে যে, আবেদনকারী পূর্বে কখনো ভোটার হননি এবং ভবিষ্যতে একাধিকবার ভোটার হওয়ার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তিনি তা মেনে নিতে বাধ্য থাকবেন।

অনলাইন থেকে নতুন ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে পাওয়া যাবে?


নতুন ভোটার হওয়ার পর অনলাইন থেকেই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।

নতুন ভোটার নিবন্ধনের সময় বিদেশে অবস্থান করলে কি করতে হবে?


নতুন ভোটার নিবন্ধনের সময় বিদেশে অবস্থান করলে, দেশে ফিরে এসে অঙ্গীকারনামা দিয়ে ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে।

অঙ্গীকারনামাতে আবেদনকারীর কোন তথ্যগুলো থাকতে হবে?


অঙ্গীকারনামাতে আবেদনকারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, গ্রাম, পোস্ট, উপজেলা, এবং জেলার তথ্যগুলো থাকতে হবে।

Explore More