NID Name Correction Online | ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম

NID Name Correction Online | ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম
আপনার ভোটার আইডি কার্ডে নামের ভুল সংশোধন করতে চাইলে, আপনি এখন খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে এটি করতে পারেন। আমি আপনাকে ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটি বোঝাবো। তবে প্রথমেই মনে রাখতে হবে যে, আপনার কাছে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে, যেমন আপনার জন্ম সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, এবং যেকোনো সরকারি পরিচয়পত্র যাতে আপনার সঠিক নাম উল্লেখ আছে। এই কাগজপত্রগুলো স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আপনার নাম সংশোধনের আবেদনটি গ্রহণ করার জন্য এসব কাগজপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এখন, একটি ছোট গল্প শেয়ার করি। আমার এক বন্ধু, রাহুল, তার ভোটার আইডি কার্ডে নামের ভুল নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। একবার তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে এই নামের ভুলটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সে তখন অনলাইনে নাম সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করে। প্রথমবার তার আবেদনটি ভুল তথ্যের কারণে বাতিল হয়। কিন্তু যখন সে ঠিকভাবে সকল কাগজপত্র আপলোড করে এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করে, তখন তার নাম সংশোধনের কাজটি মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হয়। তাই সঠিক তথ্য পূরণ করা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করা অত্যন্ত জরুরি।

আপনি যদি বিস্তারিত তথ্য পেতে চান এবং ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটি জানতে চান, তবে সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। এতে আপনার সব ধরণের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আপনি। শুভকামনা রইল!

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র



ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংশোধন করতে গেলে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। প্রথমত, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের মূল কপি এবং তার ফটোকপি। দ্বিতীয়ত, সংশোধনের জন্য একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে, যা আপনি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।

তৃতীয়ত, আপনার নাম সংশোধনের কারণ ব্যাখ্যাসূচক নথি যেমন, জন্মসনদ, শিক্ষাগত সনদপত্র, অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিতে হবে। সর্বশেষ, আপনার ঠিকানার প্রমাণপত্র, যেমন গ্যাস, পানি বা বিদ্যুৎ বিলের কপি জমা দিতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের পদ্ধতি



ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংশোধনের পদ্ধতি বেশ সহজ এবং স্বচ্ছ। প্রথমে, আপনাকে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এরপর, এনআইডি ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে আপনার প্রোফাইল আপডেট করতে হবে।

তারপর, সংশোধনের জন্য আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করতে হবে। সবশেষে, আপনার আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করে আবেদন সাবমিট করতে হবে।

ধাপ ১: প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান/ ছবি তুলে নিন



প্রথম ধাপে, আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান বা ছবি তুলে রাখতে হবে। এসব কাগজপত্রের মধ্যে থাকতে পারে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মসনদ, পাসপোর্টের কপি, এবং অন্যান্য নথি যা আপনার নাম সংশোধনের জন্য প্রয়োজন হতে পারে।

স্ক্যান করা নথিগুলো অবশ্যই স্পষ্ট এবং পাঠযোগ্য হতে হবে, যাতে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হয়।

ধাপ ২: এনআইডি ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করুন



দ্বিতীয় ধাপে, এনআইডি ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। প্রথমে, nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে যান এবং "রেজিষ্ট্রেশন" বাটনে ক্লিক করুন। এরপর, আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি পূরণ করুন যেমন নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি।

নিশ্চিত করুন যে আপনি সঠিক তথ্য প্রদান করছেন, কারণ ভুল তথ্য প্রদান করলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।

ধাপ ৩: নাম সংশোধন করুন



তৃতীয় ধাপে, আপনার প্রোফাইলে লগইন করে নাম সংশোধন করার অপশনে যান। এখানে, আপনার বর্তমান নাম এবং সংশোধিত নাম লিখতে হবে।

এছাড়া, নাম সংশোধনের যথাযথ কারণ উল্লেখ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে।

ধাপ ৪: জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি পরিশোধ করুন



নাম সংশোধনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি পরিশোধের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যেমন মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংক ট্রান্সফার ইত্যাদি।

ফি পরিশোধের পর, একটি রসিদ পাবেন, যা আপনাকে সংরক্ষণ করতে হবে।

ধাপ ৫: ডকুমেন্ট আপলোড ও আবেদন সাবমিট



ফি পরিশোধের পর, আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। এই ডকুমেন্টগুলোর মধ্যে থাকতে পারে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, আবেদনপত্র, এবং সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য নথি।

সব নথি আপলোড করার পর, আপনার আবেদন সাবমিট করুন।

ধাপ ৬: ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন ফরম ডাউনলোড



আবেদন সাবমিট করার পর, আপনাকে একটি নাম সংশোধন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। এই ফরমটি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে।

ফরমটি পূরণ করে, আপনার সংশোধিত নাম এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই করুন।

ভোটার আইডি কার্ডে মায়ের নাম সংশোধন



ভোটার আইডি কার্ডে মায়ের নাম সংশোধনের প্রক্রিয়াও নাম সংশোধনের মতোই। প্রথমে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন, যেমন জন্মসনদ, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি।

এরপর, এনআইডি ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে মায়ের নাম সংশোধনের জন্য আবেদন করুন এবং ফি পরিশোধ করুন।

ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনে যা মনে রাখতে হবে



ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। প্রথমত, সঠিক তথ্য প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয়ত, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে স্ক্যান করে আপলোড করুন। তৃতীয়ত, সংশোধনের জন্য ফি পরিশোধের রসিদ সংরক্ষণ করুন।

সবশেষে, সংশোধনের প্রক্রিয়ায় ধৈর্য্য ধরুন এবং সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিন।

আশা করি, এই গাইডলাইন আপনাকে ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনে সাহায্য করবে।





















সংশোধনের ধরণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
নিজ নামের বানান সংশোধন,
নামের আংশিক পরিবর্তন
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ;
জন্ম নিবন্ধন;
পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স;
সন্তানদের পাবলিক পরীক্ষার সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র;
এমপিও সিট/সার্ভিস বহি।
ইংরেজি অনুসারে বাংলা নাম,
বাংলা অনুসারে ইংরেজি নাম
বিদ্যমান জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ;
আইডি কার্ড করার পূর্বের জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স;
সন্তানদের পাবলিক পরীক্ষার সনদ অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র;
স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি;
আবেদনকারী একই ব্যক্তি এই মর্মে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের প্রত্যয়ন (অবশ্যই)
পিতা-মাতার নাম সংশোধন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ;
আইডি কার্ড করার পূর্বের জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স;
পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র;
ভাই-বোনের জাতীয় পরিচয় পত্র।

Read also: NID Wallet কি ও যেভাবে এনআইডি ওয়ালেট ব্যবহার করবেন

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরঃ

জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম সংশোধন করতে কি ধরনের প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয়?


জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম সংশোধন করতে পাবলিক পরীক্ষার সনদ, জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, সন্তানদের পাবলিক পরীক্ষার সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র, এমপিও সিট/সার্ভিস বহি প্রয়োজন হয়।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের জন্য প্রথমে কোন সাইটে ভিজিট করতে হবে?


ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের জন্য প্রথমে services.nidw.gov.bd সাইটে ভিজিট করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে কীভাবে ফি পরিশোধ করতে হয়?


ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে বিকাশের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। পে বিল অপশনে গিয়ে NID Service অপশনটি বাছাই করে NID নম্বর ও পিন নম্বর দিয়ে ফি পরিশোধ করুন।

ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?


ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে ভ্যাটসহ ২৩০ টাকা লাগে। দ্বিতীয় বার নাম সংশোধন করতে ৩৪৫ টাকা এবং তৃতীয় বার সংশোধন করতে ৫৭৫ টাকা লাগে।

ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে?


ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে ৫ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ দিন লাগে। নামের বানান ও আংশিক পরিবর্তন অনুমোদন হতে ৭ থেকে ১৫ দিন এবং সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন অনুমোদন হতে ৩০ থেকে ৪৫ দিন লাগতে পারে।

জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংশোধনের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?


জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংশোধনের জন্য services.nidw.gov.bd সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে প্রোফাইল অপশনে গিয়ে এডিট বাটনে ক্লিক করে সংশোধিত তথ্য আপলোড করতে হবে। এরপর সংশোধন ফি জমা দিয়ে আবেদনটি সাবমিট করতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্রে পিতা-মাতার নাম সংশোধনের জন্য কী ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়?


জাতীয় পরিচয় পত্রে পিতা-মাতার নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, আইডি কার্ড করার পূর্বের জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র, ভাই-বোনের জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হয়।

ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের জন্য কোন দুটি প্রমাণপত্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?


ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণপত্র হচ্ছে এসএসসি, এইচএসসি বা তার উর্দ্ধের যে কোন পাবলিক পরীক্ষার সনদ এবং অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ।

জন্ম নিবন্ধন সনদ পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করা যাবে কি?


না, জন্ম নিবন্ধন সনদ পরিবর্তন বা নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ করে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করা যাবে না। জন্ম নিবন্ধনটি অবশ্যই ভোটার নিবন্ধনের পূর্বে প্রণীত হতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন প্রক্রিয়ায় কোন ধাপে স্ক্যান করা ডকুমেন্ট আপলোড করতে হয়?


ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন প্রক্রিয়ায় ধাপ ৫ এ স্ক্যান করা ডকুমেন্ট আপলোড করতে হয়।

ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন ফরম কোথায় জমা দিতে হবে?


ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন ফরম উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে না; এটি অনলাইনে ডাউনলোড করে নিজের কাছে রাখতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডে মায়ের নাম সংশোধন করতে কি কি প্রমাণপত্র প্রয়োজন?


ভোটার আইডি কার্ডে মায়ের নাম সংশোধন করতে জেএসসি, এসএসসি অথবা তার সমমান বা তার উর্দ্ধের যেকোন শিক্ষা সনদন এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের আবেদন অনুমোদন হলে কি করা যায়?


ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের আবেদন অনুমোদন হলে অনলাইনে আপনার সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

Explore More