দেখুন ঘরে বসেই NID সংশোধন করার নিয়ম | NID Card Correction Online
দেখুন ঘরে বসেই NID সংশোধন করার নিয়ম | NID Card Correction Online
আপনি জানেন কি, ঘরে বসেই এখন আপনার NID কার্ড সংশোধন করা সম্ভব? এটা সত্যিই এক অসাধারণ সুবিধা যা আমাদের সময় এবং পরিশ্রম বাঁচিয়ে দেয়। প্রথমেই আপনাকে অনলাইনে National Identity (NID) Card Correction এর জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য আপনাকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। ফর্ম পূরণের সময় আপনার সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে সাবধানে পূরণ করবেন, কারণ ছোটখাটো ভুলও আপনার আবেদন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে পারে।
আমার এক বন্ধুও সম্প্রতি এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করেছিলেন। তাঁর NID কার্ডে জন্মতারিখ ভুল ছিল। তিনি অনলাইনে আবেদন করেন, এবং কিছুদিনের মধ্যেই সংশোধন হয়ে যায়। অবিশ্বাস্যভাবে সহজ প্রক্রিয়া! তবে, আমাকে বলতে হবে যে, আপনার আবেদনটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে কিছু ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হতে পারে, যেমন আপনার জন্ম সনদের কপি, আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি ইত্যাদি।
এখন, আমি জানি আপনি হয়তো আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে আগ্রহী। অবশ্যই, আপনি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি আরও ভালোভাবে বুঝতে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের বিস্তারিত গাইডটি একবার দেখে নিন। সেখানে প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা আছে। আমার পরামর্শ, আপনি পুরো নিবন্ধটি ভালো করে পড়ে নিন যাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না হয়।
তাহলে, এখনই হাতের কাছে ল্যাপটপ বা মোবাইল নিয়ে বসে যান এবং আপনার NID সংশোধনের কাজটি শুরু করে দিন। আমি নিশ্চিত, আপনি প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট সহজ এবং সুবিধাজনক পাবেন। আপনার কষ্ট লাগব হবে এবং সময়ও বাঁচবে। সাফল্যের সাথে আপনার NID সংশোধন হোক, শুভকামনা আপনার জন্য!
জাতীয় পরিচয় পত্র হলো একজন নাগরিকের পরিচিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন—ব্যাংকিং, ভোটাধিকার প্রয়োগ, সরকারি সুবিধা প্রাপ্তি ইত্যাদিতে অপরিহার্য। তবে কখনও কখনও এনআইডি কার্ডে ভুল তথ্য থাকতে পারে যা ভবিষ্যতে নানা অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে। তাই, এসব ভুল সংশোধন করা অত্যন্ত জরুরি।
সরকারি উদ্যোগে বর্তমানে অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের সুবিধা দেয়া হয়েছে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই ঘরে বসে এনআইডি কার্ডের ভুল তথ্য সংশোধন করা যায়। এটি সময় ও খরচ সাশ্রয়ী এবং ঝামেলামুক্ত একটি প্রক্রিয়া।
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রথমে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.nidw.gov.bd) প্রবেশ করতে হবে। তারপর 'সংশোধন' বা 'Correction' অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে লগইন করতে হবে।
লগইন করার পর সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পূরণ করতে হবে। সব তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করার পর 'Submit' বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি রেফারেন্স নম্বর প্রদান করা হবে, যা পরবর্তীতে সংশোধনের অবস্থা ট্র্যাক করতে কাজে আসবে।
NID সংশোধনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। যেমন, আপনার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, সংশোধন করতে চাওয়া তথ্যের প্রমাণপত্র (যেমনঃ জন্ম সনদ, শিক্ষাগত সনদ, বিবাহ সনদ ইত্যাদি)।
এছাড়াও, সংশোধনের জন্য আবেদনকারীর একটি সাম্প্রতিক রঙিন ছবি এবং আবেদনকারীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি আবেদনপত্র প্রয়োজন হতে পারে। এসব ডকুমেন্ট স্ক্যান করে অনলাইনে জমা দিতে হবে।
নাম, জন্ম তারিখ ও পিতা-মাতার নাম সংশোধনের জন্য প্রথমে উপরে উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট ফিল্ডে সংশোধন করতে চাওয়া তথ্য প্রদান করতে হবে।
যেমন, নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত সনদ বা জন্ম সনদ অনুযায়ী সঠিক নাম প্রদান করতে হবে। জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে জন্ম সনদ বা পাসপোর্ট অনুযায়ী সঠিক তারিখ প্রদান করতে হবে। পিতা-মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রমাণপত্র প্রদান করতে হবে।
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রথমে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর 'সংশোধন' অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পূরণ করতে হবে।
তথ্য পূরণের পর স্ক্যান করা ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ এবং ডকুমেন্ট আপলোড করার পর 'Submit' বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি রেফারেন্স নম্বর প্রদান করা হবে, যা পরবর্তীতে কাজের অগ্রগতি ট্র্যাক করতে কাজে লাগবে।
সংশোধন ফি প্রদান করতে হলে অনলাইনে পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে পেমেন্ট অপশন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি মাধ্যমে ফি প্রদান করা যায়।
ফি প্রদানের পর একটি রিসিট পাওয়া যাবে, যা প্রমাণপত্র হিসেবে সংরক্ষণ করা উচিত। রিসিটটি সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রমাণ হিসেবেও কাজ করবে।
সংশোধনের অনুমোদন প্রক্রিয়া সাধারণত নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সম্পন্ন হয়। সংশোধনের জন্য আবেদন জমা দেয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করা হয়।
সব তথ্য সঠিক হলে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রদান করা হলে সংশোধনের আবেদন অনুমোদন করা হয়। সাধারণত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১৫ থেকে ৩০ কার্যদিবস সময় লাগে। তবে, এটি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য প্রয়োজন হয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, চাকরিজীবিদের এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন নামা, পিতা-মাতার আইডি কার্ড এবং ভাই-বোন ও সন্তানদের আইডি কার্ড।
ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের জন্য জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিবাহের কাবিন নামা, এবং এমপিও সিট বা সার্ভিস বহি প্রয়োজন হয়।
জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য জেএসসি, এসএসসি বা এইচএসসি সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিবাহের কাবিন নামা, এবং এমপিও সিট বা সার্ভিস বহি প্রয়োজন হয়।
পিতা-মাতার নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষা সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র, পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন, অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন এবং এমপিও সিট, ওয়ারিশন সনদ, এবং ভাই-বোনের জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হয়।
প্রথম ধাপে প্রয়োজনীয় প্রমাণগুলো স্ক্যান করে নির্দিষ্ট সাইজের মধ্যে ক্রপ করে নিতে হয় বা ছবি তুলে রাখতে হয়।
এনআইডি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে গিয়ে NID নম্বর, জন্মতারিখ ও ঠিকানা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
অনলাইনে এনআইডি সংশোধনের পর ফি বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করতে হয়। বিকাশ এ্যাপ থেকে পে বিল অপশনে গিয়ে, সরকারি ফি অপশন সিলেক্ট করে, NID নম্বর এবং আবেদন ধরণ নির্বাচন করে, বিকাশ পিন নম্বর দিয়ে ফি প্রদান করতে হয়।
অনলাইনে এনআইডি সংশোধনের প্রক্রিয়ায় সাধারণত ৭ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে।
আবেদন জমা দেয়ার পর প্রমাণপত্রগুলো আপলোড করতে হয় এবং আবেদনটি সাবমিট করতে হয়।
ভুলক্রমে পিতা-মাতা বা স্বামীকে মৃত উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে।
আবেদন অনুমোদন না হলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদনের কপি নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
এনআইডি সংশোধনের জন্য স্ক্যান করা ডকুমেন্টের সাইজ নির্দিষ্ট সাইজের মধ্যে ক্রপ করে নিতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd এ গিয়ে আবেদন করতে হয়।
আপনি জানেন কি, ঘরে বসেই এখন আপনার NID কার্ড সংশোধন করা সম্ভব? এটা সত্যিই এক অসাধারণ সুবিধা যা আমাদের সময় এবং পরিশ্রম বাঁচিয়ে দেয়। প্রথমেই আপনাকে অনলাইনে National Identity (NID) Card Correction এর জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য আপনাকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। ফর্ম পূরণের সময় আপনার সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে সাবধানে পূরণ করবেন, কারণ ছোটখাটো ভুলও আপনার আবেদন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে পারে।
আমার এক বন্ধুও সম্প্রতি এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করেছিলেন। তাঁর NID কার্ডে জন্মতারিখ ভুল ছিল। তিনি অনলাইনে আবেদন করেন, এবং কিছুদিনের মধ্যেই সংশোধন হয়ে যায়। অবিশ্বাস্যভাবে সহজ প্রক্রিয়া! তবে, আমাকে বলতে হবে যে, আপনার আবেদনটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে কিছু ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হতে পারে, যেমন আপনার জন্ম সনদের কপি, আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি ইত্যাদি।
এখন, আমি জানি আপনি হয়তো আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে আগ্রহী। অবশ্যই, আপনি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি আরও ভালোভাবে বুঝতে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের বিস্তারিত গাইডটি একবার দেখে নিন। সেখানে প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা আছে। আমার পরামর্শ, আপনি পুরো নিবন্ধটি ভালো করে পড়ে নিন যাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না হয়।
তাহলে, এখনই হাতের কাছে ল্যাপটপ বা মোবাইল নিয়ে বসে যান এবং আপনার NID সংশোধনের কাজটি শুরু করে দিন। আমি নিশ্চিত, আপনি প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট সহজ এবং সুবিধাজনক পাবেন। আপনার কষ্ট লাগব হবে এবং সময়ও বাঁচবে। সাফল্যের সাথে আপনার NID সংশোধন হোক, শুভকামনা আপনার জন্য!
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতি
জাতীয় পরিচয় পত্র হলো একজন নাগরিকের পরিচিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন—ব্যাংকিং, ভোটাধিকার প্রয়োগ, সরকারি সুবিধা প্রাপ্তি ইত্যাদিতে অপরিহার্য। তবে কখনও কখনও এনআইডি কার্ডে ভুল তথ্য থাকতে পারে যা ভবিষ্যতে নানা অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে। তাই, এসব ভুল সংশোধন করা অত্যন্ত জরুরি।
সরকারি উদ্যোগে বর্তমানে অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের সুবিধা দেয়া হয়েছে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই ঘরে বসে এনআইডি কার্ডের ভুল তথ্য সংশোধন করা যায়। এটি সময় ও খরচ সাশ্রয়ী এবং ঝামেলামুক্ত একটি প্রক্রিয়া।
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার ধাপসমূহ
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রথমে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.nidw.gov.bd) প্রবেশ করতে হবে। তারপর 'সংশোধন' বা 'Correction' অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে লগইন করতে হবে।
লগইন করার পর সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পূরণ করতে হবে। সব তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করার পর 'Submit' বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি রেফারেন্স নম্বর প্রদান করা হবে, যা পরবর্তীতে সংশোধনের অবস্থা ট্র্যাক করতে কাজে আসবে।
NID সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
NID সংশোধনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। যেমন, আপনার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, সংশোধন করতে চাওয়া তথ্যের প্রমাণপত্র (যেমনঃ জন্ম সনদ, শিক্ষাগত সনদ, বিবাহ সনদ ইত্যাদি)।
এছাড়াও, সংশোধনের জন্য আবেদনকারীর একটি সাম্প্রতিক রঙিন ছবি এবং আবেদনকারীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি আবেদনপত্র প্রয়োজন হতে পারে। এসব ডকুমেন্ট স্ক্যান করে অনলাইনে জমা দিতে হবে।
নাম, জন্ম তারিখ ও পিতা-মাতার নাম সংশোধনের নিয়ম
নাম, জন্ম তারিখ ও পিতা-মাতার নাম সংশোধনের জন্য প্রথমে উপরে উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট ফিল্ডে সংশোধন করতে চাওয়া তথ্য প্রদান করতে হবে।
যেমন, নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত সনদ বা জন্ম সনদ অনুযায়ী সঠিক নাম প্রদান করতে হবে। জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে জন্ম সনদ বা পাসপোর্ট অনুযায়ী সঠিক তারিখ প্রদান করতে হবে। পিতা-মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রমাণপত্র প্রদান করতে হবে।
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের বিস্তারিত ধাপ
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রথমে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর 'সংশোধন' অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পূরণ করতে হবে।
তথ্য পূরণের পর স্ক্যান করা ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ এবং ডকুমেন্ট আপলোড করার পর 'Submit' বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি রেফারেন্স নম্বর প্রদান করা হবে, যা পরবর্তীতে কাজের অগ্রগতি ট্র্যাক করতে কাজে লাগবে।
সংশোধন ফি প্রদানের নিয়ম
সংশোধন ফি প্রদান করতে হলে অনলাইনে পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে পেমেন্ট অপশন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি মাধ্যমে ফি প্রদান করা যায়।
ফি প্রদানের পর একটি রিসিট পাওয়া যাবে, যা প্রমাণপত্র হিসেবে সংরক্ষণ করা উচিত। রিসিটটি সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রমাণ হিসেবেও কাজ করবে।
সংশোধনের অনুমোদন প্রক্রিয়া ও সময়সীমা
সংশোধনের অনুমোদন প্রক্রিয়া সাধারণত নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সম্পন্ন হয়। সংশোধনের জন্য আবেদন জমা দেয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করা হয়।
সব তথ্য সঠিক হলে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রদান করা হলে সংশোধনের আবেদন অনুমোদন করা হয়। সাধারণত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ১৫ থেকে ৩০ কার্যদিবস সময় লাগে। তবে, এটি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর।
সংশোধনের ধরণ | প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (যে কোন ২টি) |
---|---|
নিজ নাম সংশোধন |
|
জন্ম তারিখ সংশোধন |
|
পিতা-মাতার নাম সংশোধন |
|
Read also: ইউনিয়ন পরিষদ Birth Certificate বা জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরঃ
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য প্রয়োজন হয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, চাকরিজীবিদের এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন নামা, পিতা-মাতার আইডি কার্ড এবং ভাই-বোন ও সন্তানদের আইডি কার্ড।
ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের জন্য কোন কোন ডকুমেন্ট লাগে?
ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের জন্য জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিবাহের কাবিন নামা, এবং এমপিও সিট বা সার্ভিস বহি প্রয়োজন হয়।
জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য কোন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে?
জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য জেএসসি, এসএসসি বা এইচএসসি সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিবাহের কাবিন নামা, এবং এমপিও সিট বা সার্ভিস বহি প্রয়োজন হয়।
পিতা-মাতার নাম সংশোধনের জন্য কোন কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়?
পিতা-মাতার নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষা সনদ, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র, পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন, অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন এবং এমপিও সিট, ওয়ারিশন সনদ, এবং ভাই-বোনের জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হয়।
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রথম ধাপে কী করতে হয়?
প্রথম ধাপে প্রয়োজনীয় প্রমাণগুলো স্ক্যান করে নির্দিষ্ট সাইজের মধ্যে ক্রপ করে নিতে হয় বা ছবি তুলে রাখতে হয়।
এনআইডি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম কী?
এনআইডি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে গিয়ে NID নম্বর, জন্মতারিখ ও ঠিকানা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
অনলাইনে এনআইডি সংশোধনের পর ফি কীভাবে প্রদান করতে হয়?
অনলাইনে এনআইডি সংশোধনের পর ফি বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করতে হয়। বিকাশ এ্যাপ থেকে পে বিল অপশনে গিয়ে, সরকারি ফি অপশন সিলেক্ট করে, NID নম্বর এবং আবেদন ধরণ নির্বাচন করে, বিকাশ পিন নম্বর দিয়ে ফি প্রদান করতে হয়।
অনলাইনে এনআইডি সংশোধনের জন্য কতদিন সময় লাগে?
অনলাইনে এনআইডি সংশোধনের প্রক্রিয়ায় সাধারণত ৭ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে।
অনলাইনে এনআইডি সংশোধনের জন্য আবেদন জমা দেয়ার পর কী করতে হয়?
আবেদন জমা দেয়ার পর প্রমাণপত্রগুলো আপলোড করতে হয় এবং আবেদনটি সাবমিট করতে হয়।
ভুলক্রমে পিতা-মাতা বা স্বামীকে মৃত উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কী কী ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে?
ভুলক্রমে পিতা-মাতা বা স্বামীকে মৃত উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে।
আবেদন অনুমোদন না হলে কী করা উচিত?
আবেদন অনুমোদন না হলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদনের কপি নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
এনআইডি সংশোধনের জন্য স্ক্যান করা ডকুমেন্টের সাইজ কত হওয়া উচিত?
এনআইডি সংশোধনের জন্য স্ক্যান করা ডকুমেন্টের সাইজ নির্দিষ্ট সাইজের মধ্যে ক্রপ করে নিতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে কোথায় আবেদন করতে হয়?
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd এ গিয়ে আবেদন করতে হয়।
Explore More
- নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম
- পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায়
- কিভাবে নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকার নামা লিখবেন
- জানুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- NID Wallet কি ও যেভাবে এনআইডি ওয়ালেট ব্যবহার করবেন
- সরকারি চাকরিজীবীদের (NID) এনআইডি সংশোধন কঠিন হলো, লাগবে কর্তৃপক্ষের মতামত
- NID সেবা পেতে লাগবে এনআইডি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন | NID Account Register
- এখন চাকরী প্রার্থীর NID যাচাই করা যাবে জেলা নির্বাচন অফিসে
- SIM Registration Check by NID | চেক করুন NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে
- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
- ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম
- NID Name Correction Online | ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম
- কোড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ডে পিতা ও মাতার নাম সংশোধন কিভাবে করবেন ও কি কি লাগবে
- ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম | How to Cancel NID Card